আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেম আল-কুদসে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার ব্যাপারে আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের অর্থ হবে জেরুজালেম আল-কুদস শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া যার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
হামাস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে তা হবে জেরুজালেম আল-কুদস শহরের ওপর মার্কিন আগ্রাসন এবং এর ওপর ইহুদিবাদী দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়া। ”
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জেরুজালেম আল-কুদস একটি অধিকৃত শহর হওয়ার কারণে সেখানে দূতাবাস স্থানান্তর হবে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তেল আবিব সরকার এই শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে এটিকে ইহুদিকরণের যে পরিকল্পনা করছে, দূতাবাস স্থানান্তরিত হলে ইহুদিবাদী সরকার খুব সহজে যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে। ”
আমেরিকা যাতে এই ‘নৃশংস সিদ্ধান্ত’ বাস্তবায়ন করতে না পারে সেজন্য ফিলিস্তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখ দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল-কুদস হচ্ছে আরব ও ইসলামি পরিচিতির শহর এবং ফিলিস্তিনি ভূমি। এই পরিচয় মুছে ফেলার যেকোনো পরিকল্পনা রুখে দেয়ার জন্য সব আরব ও মুসলিম দেশের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের গোড়ার দিকে ক্ষমতায় এসেই ইসরাইলস্থ মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেম আল-কুদস শহরে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়ার জের ধরে জুন মাসে তিনি ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখেন।
আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ট্রাম্প ওই স্থগিতাদেশ আরো ছয় মাস বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন। বিভিন্ন সুত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ট্রাম্প হয়ত দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত আবার স্থগিত রাখবেন। কিন্তু এর পরিবর্তে তিনি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারেন। (পার্সটুডে)